যে কাজ গুলি ভুলেও করবেন না জন্মাষ্টমীতে!

জন্মাষ্টমী

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রধানত বৈষ্ণব মতাবলম্বীরা জাগতিক মঙ্গলকামনায় এবং অশুভ-অকল্যাণ দূর করতে এই ব্রত পালন করা থাকেন। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতেই শ্রীকৃষ্ণ এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। কৃষ্ণভক্তদের কাছে জন্মাষ্টমীর বিশেষ মাহাত্ম আছে। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী উদযাপন হয়।

বহু মানুষই বাড়িতে গোপালকে ভোগ দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেন। কিন্তু জানেন কি এই বিশেষ দিনটি পালনের কিছু রীতি রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পেতে এদিন উপবাস রেখে পুজো-অর্চনা করেন অনেকেই। তবে জন্মাষ্টমীতে কয়েকটা কাজ ভুলেও করবেন না। না হলে কৃষ্ণ আরাধনা করলেও বিপদ আপনার পিছু ছাড়বে না। সহজ এই রীতি বা নিয়মগুলি পালন করলেই জীবনের অনেক বিপদ এড়ানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই।

চলুন দেখে নিই কি সেই নিয়মাবলীগুলো – 

  • জন্মাষ্টমীতে একটি ছোট্ট রূপোর বাঁশি কিনুন। পুজোর সময় তা ভগবান কৃষ্ণের মূর্তি বা গোপালের মূর্তির সামনে রেখে দিন। পুজো হয়ে গেলে তা তুলে নিয়ে নিজের ব্যাগে বা পার্সে রেখে দিতে পারেন। প্রচলিত বিশ্বাস, এই কাজ করলে কোনও বিপদ কাছে ঘেঁষতে পারে না। এছাড়াও এর ফলে আপনার জীবনে কোনও দিন অভাব-অনটন দেখা দেবে না।
  • গোপাল পুজোর আগে কিছু খাওয়া নিষিদ্ধ। যদি কিছু খেয়ে ফেলেন, তবে ফের ব্রাশ করে শুদ্ধ ভাবে পুজোয় বসতে হবে।
  • জন্মাষ্টমীর প্রসাদ কাউকে বিতরণ করার আগে তার মধ্যে দিন তুলসি পাতা। এতে গোপাল তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
  • শ্রীকৃষ্ণের পুজোয় ব্যবহার করুন মাটির প্রদীপ বা তামা-পিতলের প্রদীপ। কোনওভাবেই ভুল করেও স্টিলের প্রদীপ বা লোহার প্রদীপ ব্যবহার করবেন না।
  • কৃষ্ণের পুজোর ফুল টাটকা হতে হবে। বাসি ফুল পুজোর আগেই ঠাকুরের সিংহাসন থেকে সরিয়ে ফেলুন।
  • জন্মাষ্টমীতে অবশ্যই পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে পুজোয় বসবেন। তবে এদিন পাটবস্ত্র পরিধান করা যাবে না।
  • শ্রীকৃষ্ণের ভোগে অবশ্যই রাখুন মাখন ও মিছরি, যা গোপালের একান্ত প্রিয়। এতে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূর্ণ করেন ভগবান কৃষ্ণ।
  • জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণ ও বলরামের মূর্তিতে রাখি বাঁধতে ভুলবেন না। এতে আপনার সংকটে আপনাকে উদ্ধার করবেন খোদ শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম।
  • জন্মাষ্টমীর পুজোয় শাঁখের মধ্যে একটু দুধ রাখুন। এতে আপনার জীবনে সুখ বিরাজ করবে।
  • এই বিশেষ দিনে কোনও মন্দিরে ফল ও শষ্য দান করুন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে বলে বিশ্বাস।
  • শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন গোপালক। তাই জন্মাষ্টমীতে একটা গরু ও বাছুরের মূর্তি অবশ্যই ঘরে নিয়ে আসুন। এই মূর্তি আপনার দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।
  • জন্মাষ্টমীর বিশেষ পুজোয় রাখুন ময়ূরের পালক। মাথায় ময়ূরের পালক ধারণ করেন ভগবান কৃষ্ণ। সেই পালক শ্রীকৃষ্ণের অংশ বলেই মনে করেন ভক্তরা।
  • এই দিন বাড়ি ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে যতটা সম্ভব ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলুন৷
  • এরপর তাড়াতাড়ি স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পড়ে গোপালের দোলনা সাজান৷ রাত ১২টার বাজলে আরতি শুরু করুন।

শাস্ত্রমতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। চন্দ্র বৃষরাশির রোহিনী নক্ষত্রে প্রবেশ করার পরই শুরু হয় জন্মাষ্টমী৷ রোহিনী শ্রীকৃষ্ণের জন্মনক্ষত্র৷ বৃষ তাঁর রাশি৷

সোর্সঃ

এইসময়

কোলকাতা২৪x৭

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.