ভূত চতুর্দশীর রাতে যে নিয়মগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে।

অমাবস্যা শুরুর সাথে সাথে শুরু হবে মা কালী পূজা ও দীপাবলি। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করার জন্য প্রদীপের আআলোয় চারদিকে উদ্ভাসিত হবে। আর এই  পুজোর আগের দিন পালিত হয় ভূতচতুর্দশী। এই রাতে রাতে নাকি বিদেহী আত্মারা নেমে আসে মর্ত্যে।

তাই কালীপুজোর আগের দিন অর্থাৎ চর্তুদশীর রাতকে বলা হয় ভূত চতুর্দশী। বলা হয়, এই দিন এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করতে নেই। এই দিন এই সব কাজ করলে সংসারে হতে পারে অমঙ্গল।

    • কালী পুজোর রাতে বা ভূত চতুর্দশীর রাতে শ্মশান বা কবরস্থানে যেতে নেই। কারণ এই সময় এই সব জায়গায় নানা রকম অপশক্তি শক্তি থাকে। এতে নিজের এবং পরিবারের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
    • এই দু’দিন সন্ধ্যাবেলার পর কোনও ভাবেই বাড়িঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করবেন না। মনে করা হয়, এর ফলে লক্ষ্মীদেবীকে ঘর থেকে বিতারিত করে দেওয়া হয়।
    • এই দু’দিন রাতে রান্না করার পর রান্নাঘর পরিস্কার করে রাখতে হয়। এতে পরিবারে মঙ্গল হয়।
    • এই দিনগুলোতে সন্ধ্যার পর ঘরে প্রদীপ জ্বালাবেন। আবার অনেকে মনে করেন অশুভ শক্তি দূর করতে এই দিন সারা রাত আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। পরদিন দীপান্বিতা অমাবস্যায় অনেকে অলক্ষ্মী বিদায় করতে লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন।

প্রদীপ জ্বালানো সম্পর্কে অন্য যে সমস্ত মতের প্রচলন আছে তার মধ্যে একটিতে বলা হয়— এই দিনে রামচন্দ্র চোদ্দো বছরের বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। এত বছরের দুঃখের দিনের অবসানের আনন্দে এবং রামচন্দ্রকে স্বাগত জানানোর জন্য সমগ্র অযোধ্যবাসী প্রদীপ জ্বালিয়ে অযোধ্যা নগরীকে আলোকিত করে দিয়েছিল। সেই থেকে এই প্রথা চলে আসছে।

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.