দেখে নিন আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলির দোষ গুণ বিচার!

বৃদ্ধাঙ্গুল দেখে ব্যক্তির নিখুঁতভাবে বিচার করা যায়। কেবল হাত দেখাই নয়, পৃথিবীর নানা দিকে নানা কাজে বৃদ্ধাঙ্গুলির বিশেষ প্রয়োজন। আইনত কোন কাজে সবসময় বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়া হয় কারণ এটি হল মানুষকে চিনে নেবার সুনির্দিষ্ট চিহ্ন। বৃদ্ধাঙ্গুলির বিচার জ্যোতিষশাস্ত্রে বা হস্তরেখার একটি বিশেষ অংশ। এই আঙ্গুলটি কোন নির্দিষ্ট গ্রহের নয়। জ্যোতিষ মতে, স্বভাব বিচার করা হয় লগ্ন, লগ্নপতি এবং কারক গ্রহ রবি থেকে। সুতরাং প্রেম-প্রণয়ের বিচারের ক্ষেত্রে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও বৃদ্ধাঙ্গুলির নমনীয়তা বা অনমনীয়তা থেকে মানব স্বভাব অতি নিখুঁতভাবে বোঝা যায়।

১. খুব ছোট ও মোটা বৃদ্ধাঙ্গুলির মানুষের ইচ্ছাশক্তি পশুর ইচ্ছাশক্তির মতো হয়। কোন বিচার বুদ্ধি কাজ করে না।
২. যদি বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়া সরু, মাথাটা মোটা হয় তারা খুব চালাক-চতুর হয়। এদের সহজে কেউ ঠকাতে পারে না। এরা দায়িত্বশীল হয়। প্রথম জীবনে সফল না হলেও পরবর্তী জীবনে অবশ্যই সুখী হয়।
৩. অনমনীয় শক্ত বৃদ্ধাঙ্গুলযুক্ত ব্যক্তিরা চট করে কারওর কথায় বিশ্বাস করে না। কারও যুক্তি মানতে চায় না। হঠাৎ করে কারও সঙ্গে আলাপ করতে চায় না। এরা বাস্তববাদী, স্বার্থপর, প্রশংসাপ্রিয় এবং চাপা আত্মকেন্দ্রিক হয়।এরা যে কোনও কাজ করতে একটু বেশি সময় নেয়। এরা নিজের আদর্শ নিয়ে চলতে ভালবাসে।
৪. যাদের বৃদ্ধাঙ্গুল লম্বা নমনীয় ও সুন্দর তারা খুব হাসিখুশি, সৎভাবযুক্ত ও মধুর স্বভাবের হয়। এরা বেশ সামাজিক হয়।
৫. মোটা গদার মতো বা থ্যাবড়া বৃদ্ধাঙ্গুল নির্দেশ করে এদের শরীরে কর্কশ ও রূঢ়ভাব বেশি থাকবে। এমনকি অপরাধী, খুনী, ডাকাতও হতে পারে।
৬. বৃদ্ধাঙ্গুল লম্বা হলে সে ব্যক্তি কৌশলে তার কার্যসিদ্ধি করে নেয়। এরা বুদ্ধির জোরে অন্যকে পরাস্ত করে।
৭. মানুষের বৃদ্ধাঙ্গুল যত সুন্দর, যত বেশি লম্বা এবং হাতের চেটোর সঙ্গে লম্বভাবে যুক্ত, সে তত বেশি সুন্দর মনের মানুষ। তার তত বেশি বুদ্ধির বিকাশ হয়ে থাকে। যাদের বৃদ্ধাঙ্গুল কদর্য, খর্ব, স্থুল তার মানসিক গঠন অমার্জিত।

আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলি ও আপনার প্রেম
বৃদ্ধাঙ্গুলির আঙ্গিকে প্রেম-প্রণয়ের ক্ষেত্রে কীভাবে মানব স্বভাব প্রভাব ফেলে দেখে নেওয়া যাক

১. অনমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলিঃ বৃদ্ধাঙ্গুলির ওপরের পর্বকে চাপ দিয়ে যদি পিছনের দিকে হেলানো না যায়, তাহলে তাকে অনমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি বলে। এরা প্রচন্ড একগুঁয়ে হয়। এরা নিজেরা কোনও ভুল করলেও সেই ভুল আঁকড়ে থাকে এবং কখনোই সেই ভুল স্বীকার করে না। এই জেদের জন্যই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরা অনেক ক্ষেত্রে চাপা হয়। ফলে এদের প্রেমিক বা প্রেমিকারা অনেক ক্ষেত্রে এদের মনের কথা জানতে পারে না। এরা এদের প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে ভুল করছে জেনেও সেই ভুল আঁকড়ে থাকে। ফলে এদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে এরা নিজেরাই দায়ী থাকে। তা সত্ত্বেও এরা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দোষারোপ করে। এরা সবার সাথে মিশতে পারে না। অনেকটা একাকী জীবনযাপন করে। ফলে হাজার কষ্ট হলেও বলার মতো কাউকে পায় না। ভিতরে ভিতরে জ্বলতে থাকে, যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। হাত সামান্য নরম হলে এই প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।

২. নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলিঃ বৃদ্ধাঙ্গুলির ওপরের পর্বকে চাপ দিয়ে যদি পিছনের দিকে হেলানো যায় তাকে নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি বলে। যত বেশি পিছনের দিকে হেলবে তত সে নমনীয়। যেকোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অপরিসীম। প্রেমে যতই দুঃসময় আসুক সব সহ্য করে তাকে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যায়। এরা মানুষের সাথে মিশতে জানে। এদের ব্যবহার অমায়িক হয়। ফলে এরা প্রিয়পাত্র হয়। এদের মধ্যে এগুঁয়েমি থাকে না। ফলে প্রেমের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল কম হয়। এরা কোনও ভুল করলে ভুল স্বীকার করে। ভালোবাসার মানুষকে কখনোই ছাড়তে চায় না। এদের মধ্যে দয়া, মায়া সহমর্মিতা যথেষ্ট থাকে।

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.