জগদ্ধাত্রীর পুজোই বেশি কল্যাণকর!

জগদ্ধাত্রী যে দেবী-শ্রেষ্ঠা তা শোনা যায় ঠাকুর রামকৃষ্ণের মুখেও। তিনি বলেন, ‘জগদ্ধাত্রীরূপের মানে কী জান? যিনি জগৎকে ধারণ করে আছেন। তিনি না ধরলে জগৎ পড়ে যায়— নষ্ট হয়ে যায়। মনকরীকে যে বশ করতে পারে তারই হৃদয়ে জগদ্ধাত্রী উদয় হয়।’ মদমত্ত হাতি, তার উপরে শক্তির প্রতীক সিংহ আর তার উপরে দেবী জগদ্ধাত্রী।

স্বামী নির্মলানন্দ দেবী জগদ্ধাত্রীর মূর্তির বর্ণনা করে বলেছেন তিনিই মানুষের মত্ত মনকে বশ করতে পারেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের মন মত্ত হস্তীর ন্যায় সর্ব্বদা মদান্বিত। সে অস্থির, উন্মাদ। এই দুরন্ত মনকরীকে সদা উদ্যমশীল বিবেকসিংহের দ্বারা মর্দ্দন করতে হবে— মহাশক্তিরূপিণী দেবীর বশীভূত করতে হবে। মন বশীভূত হ’লেই অন্তরে চৈতন্যময়ী জগদ্ধাত্রীর মহাপ্রকাশ অনায়াসলভ্য হয়। শাস্ত্রকার, পুরাণকারদের বক্তব্য, সিংহারূঢ়া জগদ্ধাত্রী যাঁকে রক্ষা করেন তার পতন নেই, বিনাশ নেই।

কলকাতায় ও অন্যত্র জগদ্ধাত্রী পুজো

দুর্গা ও কালীপুজোর তুলনায় দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও মহানগরীতে জগদ্ধাত্রী পুজোর রেওয়াজ রয়েছে৷ শুধু তাই নয় কৃষ্ণনগর আর চন্দনগরের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ইদানিং এই পুজোর দিকেও নজর পড়েছে কলকাতাবাসীর৷ ফলে নতুন নতুন বেশ কিছু বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি পুরনো বনেদি বাড়িতে এবং মঠ ও আশ্রমে এই পুজো হয়ে থাকে৷

উত্তর কলকাতার বিকে পালের বাড়ির পুজো ১৯০০ সালে শুরু করেছিলেন বটকৃষ্ণ পাল৷ আবার মুক্তরামবাবু স্ট্রিটে দত্ত বাড়ির পুজোও বহু বছর ধরে চলে আসছে ৷ বরাহনগরে সত্যানন্দদেব প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে এবং ডাললপে ওঙ্কারনাথ দেবের প্রতিষ্ঠিত মহামিলন মঠেও নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো চলে৷ বারোয়ারি পুজোগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তর কলকাতার শ্যাম পার্কে স্কোয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো, রাজবল্লভ পাড়া , বাগবাজার স্ট্রিটের পুজো, বেনিয়াটোলা লেনের পুজো , এসএন ব্যানার্জি রোডের ইযুথ কর্ণারের পুজো৷

সোর্সঃ সংগৃহিত

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.