গ্রহণ দর্শনের ফলে যে স্নানমন্ত্রে শুদ্ধ হবেন!

সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে বহুকাল থেকেই অনেক পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত ‘বিশ্বাস’। আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই গ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি।

পৌরাণিক কাহিনী থাকলেও বিভিন্ন সময়ে আমরা এই গ্রহণ দর্শণ করে থাকি। যারা এই গ্রহণ দর্শণ করে থাকি তাদের জন্য ধর্মীয় ভাবে করনীয় ও বিধিনিষেধ থাকে। দর্শণ করলে কিভাবে ও কোন মন্ত্রের সাহায্য আমরা স্নান করে শুদ্ধ হতে পারবো তা দেখে নিই-

যারা গ্রহণ দর্শন করবেন তাদের জন্য করনীয়ঃ

১. আপনি যদি গ্রহণ দর্শন করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই স্নান করে শুদ্ধ হতে হবে।

২. যদি হঠাৎ দর্শন করে ফেলেন বা দৈবাৎ দর্শনে বিপ্রকে স্বর্ণদান কর্ত্তব্য।

৩. তন্ত্রোক্ত মন্ত্র পুরশ্চরণকারীগণের পক্ষে রাশ্যাদি বিচার অনাবশ্যক।

৪. বৈধ দর্শন কারী মাত্রেই গ্রহণ নিমিত্তিক স্নান অবশ্যই কর্ত্তব্য।

এ সংক্রান্ত একটি শ্লোক নিম্নে দেওয়া হল।

সংক্রমে গ্রহণে চৈব ন স্নায়াদ্ যস্তু মানবঃ।
সপ্তজন্মস্বসৌ কুষ্ঠীস্যাদ্ দঃখ ভাগী চ সর্ব্বদা।।

মুক্তি স্নান মন্ত্রস্তবঃ

উত্তিষ্ঠগম্যতাং রাহো ত্যজ্যতাং সূর্য্যসঙ্গমঃ।
কর্ম্মচাণ্ডালযোগোত্থং কুরু পাপক্ষয়ং মম।

গঙ্গাস্নানের সময় সংকল্পবাক্য, যথাঃ

বিষ্ণুরোম তৎসদ্যোদ্য আষাঢ়ে মাসি মিথুন রাশিস্থে
ভাস্করে কৃষ্ণপক্ষে অমাবস্যান্তিথৌ / শুক্লপক্ষে প্রতিপদিতিথৌ
রাহুগ্রস্তে দিবাকরে অমুক গোত্রঃ শ্রীঅমুক দেবশর্ম্মা (শুদ্রপক্ষে শ্রী অমুক দাস, স্ত্রী পক্ষে অমুক গোত্রা শ্রী অমুকী দেবী বা দাসী)
কোটিগুণ গঙ্গাস্নান জন্য ফল সমফল প্রাপ্তিকামঃ (শ্রীবিষ্ণু প্রীতিকামঃ বা স্ত্রীপক্ষে কামা)
অস্যাং গঙ্গায়াং সানমহং করিষ্যে।

গঙ্গাভিন্ন অন্যকোথাও স্নান করলে “অস্যাং গঙ্গায়াং” এর পরিবর্তে পুকুর জল হলে “অস্যাং পুষ্করিণ্যাং” এবং নদী জলে “অস্যাং নদ্যাং” বলতে হবে।

ছবিঃ ইন্টারনেট (গুগল)

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.